ঝালকাঠিতে চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে মা ও মেয়েকে মারধর
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ঝালকাঠিতে বসতঘরের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে এক পক্ষের মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপে মা মেয়ে ও পুলিশের এক উপপরিদর্শক আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের লঞ্চঘাট বেড়িবাঁধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ মরিচের গুঁড়া ছিটানো ও মারধরের অভিযোগে জাহাঙ্গীর ফরাজী (৫০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর ফরাজী স্থানীয় মৃত হোসেন ফরাজীর ছেলে ও জামায়াতের সমর্থক বলে জানা গেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, লঞ্চঘাট বেড়িবাঁধ এলাকার নৌকার মাঝি মো. হারুন মৃধা তার বসত ঘরের পৌনে চার শতাংশ জমির ওপরে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছিলেন। এসময় প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর ফরাজী, তার স্ত্রী হাফিজা বেগম, মেয়ে মার্জিনা আক্তার, ছেলে হাফিজুল ফরাজী ও রাসেল ফরাজী মিলে হারুন মৃধার নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করে। সীমানা প্রাচীরের মধ্যে তাদের জমি আছে বলে দাবি করেন জাহাঙ্গীর। এ ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে জাহাঙ্গীর ফরাজী পুলিশকে খবর দেয়। বিরোধ নিষ্পত্তি করতে ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল হোসেন ঘটনাস্থলে গেলে জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে মরিচের গুঁড়া নিক্ষেপ করে। মরিচের গুঁড়া গিয়ে লাগে এসআই নাজমুল ও হারুন মৃধার স্ত্রী তাজনেহার বেগম ও মেয়ে সাবিনা বেগমের চোখে। মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে মারধর করা হয় মা ও মেয়েকে। গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এঘটনায় মো. হারুন মৃধা বাদী হয়ে জাহাঙ্গীর ফরাজীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে জমি দখল, মারধর, ভাঙচুর ও মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মরিচের গুঁড়া চোখে লাগেনি দাবি করে ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক মো. নাজমুল হোসেন বলেন, মরিচের গুঁড়া ছিটানোয় মা ও মেয়ে আহত হয়েছে। তাদের মারধরও করে জাহাঙ্গীর। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবু হানিফ বলেন, ঘটনার পরপরই জাহাঙ্গীর ফরাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।