
অবশেষে মামলার হুমকির মুখে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যে প্রতিবেদন প্রকাশ না করে দেশের সাধারণ জনগণকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে। তার ইঙ্গিত দিচ্ছে ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন আরসিবিসি। 'অপরাধ বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরেই ঘটেছে' বলে তারা তাদের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রতিবাদে এক হাত দেখে নিতে চায়। যদি রিজাল ব্যাংকের এই দাবি সত্য হয় তাহলে জনগণ বলতেই পারে, দেশের ব্যাংক খাতের জালিয়াতিই শীর্ষ দুর্নীতি। তা বলার কারণটাও কারো অজানা নয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, আমাদের অর্থমন্ত্রী এই দুর্নীতিকে ধর্তব্যের মধ্যে দেখতে রাজি নন। তিনি সোনালী ব্যাংকের ৪ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতিকে তুচ্ছভাবেই দেখেছেন। তাঁর এমন তাচ্ছিল্যের কারণেই হয়তো দেশের ব্যাংক খাতের জালিয়াতিতে বরকত দেখা দিয়েছে। বিসমিল্লাহ্ গ্রুপ, ডেসিটিনির মতো বেপরোয়া জালিয়াতি করেও তারা আজও ধরা ছোঁয়ার বাইরে। শেয়ারবাজারের লাখ লাখ মানুষ পথে বসলেও অর্থমন্ত্রী তাদের প্রতি সহানুভূতির পরিবর্তে বিরূপ মন্তব্য করতে ছাড়েননি। বেসিক ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে দিব্যি গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াচ্ছেন হোতারা। ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ফাঁস হওয়ার পর পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তনের মহড়ার মধ্য দিয়ে প্রায় ধামাচাপায় পড়ে আছে বিষয়টি। আর
ব্যাংক জালিয়াতি কি আমের চেয়ে বিচি বড়র মতো মূলধনের চেয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণের রেকর্ড গড়ে জনতা ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হয়তো আজ হিসাব-নিকাশ নিয়ে মহাব্যস্ত। তাই হয়তো তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাংকগুলোর এমন আগ্রাসী ঋণ বিতরণের ফলে আমানতে টান পড়েছে। সুদ বাড়িয়ে দিয়েও ঋণ পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা।
পুনশ্চ: ব্যাংক খাতের এই ভয়াবহ জালিয়াতি দেশের সাধারণ জনগণের আমানতে খেয়ানত। কষ্টার্জিত অর্থ লোপাটকারীদের বিচার দেখতে চায় দেশবাসী।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।