করোনার চাপ বাণিজ্যে
দুশ্চিন্তার কথা মন্ত্রীর কণ্ঠে
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক রয়েছে। তবে সম্প্রতি দেশটিতে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আমরা একটু দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। তারপরও আমরা সব দিকে লক্ষ্য রাখছি। করোনাভাইরাসের কি পরিমাণ চাপ আসতে পারে। সেটা নিয়ে আলোচনা
হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৩ দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এঙ্পো-ইফসি'র উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলন, করোনার প্রভাব গার্মেন্ট সেক্টরে কি পরিমাণ_ সে ব্যাপারে খুব সম্ভবত ১৬ ফেব্রুয়ারি একটা রিপোর্ট পাবো। পাশাপাশি লক্ষ্য রাখছি ফ্যাক্টরিগুলোর সাপ্লাইয়ের দিকে। চায়নায় হলিডে শেষ হলো। খবর পেলাম চায়নার মার্কেটগুলো খুলতে শুরু করেছে। আমরা সেটা অবজার্ভ করছি।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ২ মিটারের মধ্যে থাকলে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ইমপোর্টেড যে কাপড় বানানো জিনিস তার ওপরে করোনাভাইরাসের প্রভাব নেই। কিন্তু মানুষ কাজ করতে যাবে সেখানেই সমস্যা। মানুষ কাজ না করলে প্রোডাকশন হবে কেমন করে? জিনিসপত্র আনলে সেখানে সমস্যা নেই। কিন্তু ওখান থেকে তো সাপ্লাইটা শুরু হতে হবে। আমরা লক্ষ্য রাখছি তারা (চীন) সাপ্লাইটা শুরু করে কিনা।
বিজিএমইএ'র পক্ষ থেকে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে করোনাভাইরাসের কারণে চীন থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং মালামাল, বিভিন্ন ইকুইপমেন্ট ও কাঁচামাল আমদানি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এ বিষয় সমাধানে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে বলা মুশকিল, এটা অত্যন্ত গভীর সমস্যা।
তিনি বলেন, রেডিমেড গার্মেন্ট সেক্টরে হঠাৎ করে সাপ্লাইটা কোথায় সোর্সিং করবো? সেটা তো সময়ের ব্যাপার। আমরা লক্ষ্য রাখছি, আশা করছি অল্টারনেটিভ মার্কেট পেয়ে যাবো। যদিও এর জন্য সময় দরকার। কারণ, যে স্পেসিফিকেশন কাঁচামাল আনতে হয় সেটা অন্য কোথাও পেতে হলে তো সময় দিতে হবে। বায়ারকে এঙ্প্টে করতে হবে। এটা নিয়ে আমরা একটু দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি।
দেশে রসুনের দাম অনেক বেড়ে গেছে। চীন থেকে অনেক ইলেক্ট্রনিঙ্ পণ্য আসে, অনেক কাঁচামাল আসে_ এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রসুন যে পরিমাণ প্রয়োজন তার ৯০ শতাংশ চীন থেকে আসে। অন্যান্য কাঁচামাল, ইলেক্ট্রনিঙ্ প্রোডাক্টের প্রভাব যদি পড়তে শুরু করে সেটা অন্য রকমের ভাবনা। রসুন নিয়ে আমরা চেষ্টা করবো বিকল্প মার্কেট থেকে সোর্সিং করতে। কাঁচামাল আনার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যা হবে। আমাদের এখনই বলার সময় আসেনি।
ইতোমধ্যে রসুনের দাম বেড়ে গেছে, এ বিষয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং আছে। আমাদের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ সরকারের বিভিন্ন জায়গায় যারা ইমপ্লিমেন্টেশন করবে তাদের বলা হয়েছে আপনারা বাজারে যান, বাজার মনিটরিং করেন। পাইকারি ও খুচরা বাজারে কি দামে বিক্রি হচ্ছে, তা মনিটরিং করতে বলা হয়েছে। বাজারে মূল্যতালিকা ঝুলিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। কেউ যদি মূল্যের অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।