কৃজ্ঞতাবোধ কেবল শ্রেষ্ঠ গুণই নয়, তা অন্যান্য গুণের জননী। অর্থাৎ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ব্যক্তির মহত্বের পরিচায়ক। যার চিত্ত কৃতজ্ঞতায় ভরা সে সহজে অন্যায় করতে পারে না। শুধু ব্যক্তি জীবনই নয়, কৃতজ্ঞ ব্যক্তির দ্বারা সমাজও উপকৃত হয়। তাই উপকার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রা.) বলেছেন, কেউ তোমার উপকার করলে তার উপকার করা তোমার জন্য কর্তব্য, কিন্তু কেউ অপকার করলে তার উপকার করা তোমার জন্য অপরিহার্য।
ইতিবাচক দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে আমরা সমাজের হিতসাধনে উদ্বুদ্ধ হতে পারি। একটি চেতনা সহজেই যে কাউকে শান্তির দূতে পরিণত করতে পারে। তা হলো তুমি অপরের সাথে এমন আচরণ কর যেরূপ আচরণ তুমি অপরের কাছে আশা কর। এই দীক্ষার মধ্যেও রয়েছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নেপথ্য ইশারা। কিন্তু আমরা সাধারণত পরের আচরণকে
বিশ্লেষণ করতে অভ্যস্ত, নিজেরটা নয়। নিজের আচরণকে যদি সংযত রেখে অপরের প্রতি সম্মান দেখানো হয়, সেটাও কৃতজ্ঞতার শামিল। কারণ এতেও কৃতজ্ঞতা বজায় থাকে। অথচ সমাজে হরহামেশা-এর উল্টোটাই দেখা যায়। আমাদের সমাজে অকৃতজ্ঞ লোকের যেমন ভির তেমনই কৃতঘ্ন লোকের আধিক্য। তাই এতো কলহ-বিবাদ। এতো অশান্তি।
পুনশ্চ : আমরা যদি উপকারীর উপকার নাও করতে পারি, অন্তত অপকার করা থেকে বিরত থাকতে পারি। তাতেও সমাজ কলহমুক্ত থাকবে। আর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে সমাজ হবে শান্তির নীড়।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।