গ্যাস সঙ্কটের কারণে সরকার বিদ্যুৎ ও সার কারখানা বাদে অন্য সব খাতে নতুন গ্যাস সংযোগের ওপর ২০০৯ সাল থেকেই নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে। তারপরও বিভিন্ন সময় সীমিত পর্যায়ে গ্যাস সংযোগ দেয়া হলেও আবাসিক খাতে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহাওে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে গ্যাস প্রাপ্তির সম্ভাবনাকে হিসাবে রেখেই সারাদেশে চলছে গ্যাস পাইপলাইন সম্প্রসারণের বেশকিছু প্রকল্প। যদিও সম্ভাবনা অনুযায়ী গ্যাসক্ষেত্র না মিললে ওসব সঞ্চালন লাইনে গ্যাস সরবরাহের কোনো নিশ্চয়তা নেই। সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও

খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ও পরিকল্পনাধীন পাইপলাইন প্রকল্পের ওপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ওই প্রতিবেদনে গ্যাস সঞ্চালন লাইনের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাখরাবাদ-সিদ্ধিরগঞ্জ গ্যাস সঞ্চালন লাইন নির্মাণে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত ওই প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৮১ শতাংশ শেষ হয়েছে। ৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাইপলাইনটির নির্মাণকাজ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। আর গ্যাস ট্রান্সমিশন ক্যাপাসিটি এঙ্পানশন প্রকল্পের আওতায় আশুগঞ্জ থেকে বাখরাবাদ পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাইপলাইনটির কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। সরকারি অর্থায়নে লাইনটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫১৩ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। তাছাড়া মহেশখালী থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণকাজ চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ৭৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। ৯১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ওই লাইন নির্মাণেও অর্থায়ন করছে বাংলদেশ সরকার। তাতে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৩৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আগামী জুনে ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।