অবিলম্বে আদালতের রায় অনুযায়ী নদীর সীমানা যথাযথভাবে নির্ধারণ করে নদী দখলদারদের ফৌজদারি শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনগুলোর পক্ষে এই দাবি জানান পরিবেশবাদী নেতৃবৃন্দ।
সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবেশবাদী নেতৃবৃন্দ বলেন, নবগঠিত বর্তমান সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকার চারপাশের নদীসমূহ দখল করতে প্রাথমিক ধাপে ৩ দিন পর ১১ দিন বুড়িগঙ্গা নদীর কামরাঙ্গীরচর, খোলামোড়া, ইসলামবাগ, ঝাউচর, বসিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় মাধ্যমে জানা যায়।
কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে আমরা দীর্ঘদিন যাবত অবিরাম দাবি তোলার পরেও বসিলা থেকে লালবাগ পর্যন্ত আদি বুড়িগঙ্গার তলা-তট-পাড়ের উপর স্থাপিত অসংখ্য ছোট-বড় বেআইনি স্থাপনা এখনও অক্ষত রয়েছে। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে সংশ্লিষ্ট উদ্ধারকারী প্রশাসন বা সরকার সম্ভবত আদি বুড়িগঙ্গার এই অংশকে আর নদী হিসেবে রাখতে আগ্রহী নন। বিষয়টি দুঃখজনক ও প্রশাসনের এহেন আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বাপা'র সহসভাপতি সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সরকার অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছে নদীর পাড় দখলমুক্ত করতে। কিন্তু নদী একেবারে ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো দখল হচ্ছে। মূল বিষয় হলো ২০০৯ সালে হাইকোর্ট থেকে একটি রায় দেয়া হয় নদীর সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। তাই নদীর সীমানা নির্ধারণ করে উচ্ছেদ আভিযান অব্যাহত রাখা। সরকার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছে আমরা তাকে অভিনন্দন জানাই। অভিযান যেন চলমান থাকে। এর আগেও অনেকবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে, কিন্তু শেষ হয়নি। আমাদের দাবি উচ্ছেদ অভিযান যেন পুরোদমে চলে। নদীর পাড় পূর্ণ উদ্ধারের কাজ শেষ হওয়ার কিছুদিন পরে আবার যেন দখল না হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাপা'র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, বাপা'র নির্বাহী কমিটির সদস্য শারমীন মুরশিদ প্রমুখ।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।