রোগীর পিতার বিরুদ্ধে ডাক্তারের মামলা
নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেনকে গত মঙ্গলবার সকালে মারধর করার অভিযোগে শিশু রোগীর পিতার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছে হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ। লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পৌরশহরের কাচারিপাড়া মহল্লার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি তার শিশু সন্তানকে মাথা ফাটা অবস্থায় সকালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। এ সময় জরুরি বিভাগে এসে কাউকে না পেয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ পর উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন জরুরি বিভাগে উপস্থিত হওয়ার পর শিশুর পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এতে দেলোয়ার আহত হয়। এ ঘটনায় জের ধরে হাসপাতালের কর্তব্যরত সকল চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. জাহিদ হাসান স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রদান করেন। প্রত্যক্ষদর্শী মো. নাজমুল হোসেন রুবেল বলেন, জাহাঙ্গীরের ছেলেকে মাথা ফাটা অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসে জরুরি বিভাগে কাউকে না পেয়ে আমাকে ফোন দেয়। আমি এসে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত দেলোয়ারকে ফোন দেই। সে কয়েক মিনিট দেরিতে আসার পথেই জাহাঙ্গীর হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারধোর করতে থাকে। তখন আমি জাহাঙ্গীরকে ঝাপটে ধরে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাই। আহত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি রাত সারে তিনটা পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলাম। সকালে আমি বাইরে চা খাইতে যাই। এই ফাঁকে একজন রোগী আসে আমি বুঝতে পারি নাই। খবর পেয়ে আমি দ্রুত জরুরি বিভাগে যাওয়ার সময় জাহাঙ্গীর আমাকে টুল দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে।
মো.জাহাঙ্গীর হোসেনের ফোন নাম্বারে একাধিকবার ফোন দেয়া হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের বলেন, হাসপাতালের ঘটনায় একজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। আসামি ধরার ব্যাপারে পুলিশি অভিযান চলছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।