লোহাগড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তঃসত্ত্বাসহ আহত ৩
লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
নড়াইলের লোহাগড়ায় গৃহবধূ চায়না বেগমসহ তার পরিবারের উপর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চায়না বেগম ৮ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় গত ৮ এপ্রিল লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও অদৃশ্য ইশারায় তা আজও এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি।
এ বিষয়ে চায়না বেগম সাংবাদিকদের বলেন,আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমি ন্যায়বিচার পাচ্ছি না, এমনকি অসুস্থ শরীরে একাধিকবার থানায় গিয়েও ওসি সহানুভূতি পাইনি। যতবারই থানায় গিয়েছি ততবারই ওসি আমাকে এজাহার নামীয় ১ নম্বর আসামি মঞ্জুর ফকিরসহ ৪ জনের নাম বাদ দিতে বলেছেন। তাদের নাম বাদ না দিলে মামলা রেকর্ড করা হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন ওসি প্রবীর বিশ্বাস। চায়না উপজেলার লক্ষীপাশা ইউনিয়নের দাশেরডাঙ্গা গ্রামের কৃষক সাহিদ ঠাকুরের স্ত্রী।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ডিস লাইনের তার কেটে নেয়াকে কেন্দ্র করে গত সোমবার ৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলার দাশেরডাঙ্গা গ্রামের শম্ভু ফকিরের ছেলে মঞ্জুর ফকির (৪৫), আক্কাচ ফকির (৪০), কুটি ফকির (৫০), জামির ফকিরে ছেলে বিল্লাল ফকির (২৫), মফিজ ঠাকুরের ছেলে সোহান ঠাকুরসহ ১০ জন লোহার রড, বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে প্রথমে চায়না বেগমকে পরে তার ছেলে বনি ঠাকুর ও ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ জান্নাতিকে মেরে আহত করে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সেনাসদস্য মুঞ্জুর ফকির বলেন, আমি ছুটি পেয়ে বাড়িতে এসেছি। ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে থাকলেও মারামারির সাথে আমি জড়িত নই। প্রতিপক্ষ ষড়যন্ত্রপূর্বক আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, 'প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি অভিযোগে অন্তর্ভুক্ত ১ নং আসামি একজন সেনাসদস্য। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নন। সেজন্যই মামলা রেকর্ড করতে বিলম্ব হচ্ছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।