সাদুল্লাপুরে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থী আহত
সাদুল্লাপুর (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গার এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ওয়াসিম মিয়া (১০) নামের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হলে গতকাল শনিবার বিকেলে স্থানীয়ভাবে সমাধা করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম প্রতাপ দারুন-নুর খালেকিয়া আমিনিয়া হাফিজিয়া মাদ্রসায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত ওয়াসিমের স্বজনরা জানায়, প্রায় মাস খানেক আগে ওয়াসিমকে এই মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার পড়া ভুল করার অপরাধে ঐ মাদ্রাসার হুজুর তাজুল ইসলাম বেত দিয়ে ওয়াসিম কে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে। এতে তার ডান উরু ও হাত মারাত্মকভাবে ফুলা জখম হয়। তবে ওয়াসিম ভয়ে ঘটনাটি কাউকে না বললেও পরের দিন তার বাবা মা বিষয়টি জানতে পেরে তারা ছেলের কাছে ছুটে যান। ওয়াসিমের বাবা আনু মিয়া বলেন, মাদ্রাসায় গিয়ে ছেলেকে দেখি ব্যথায় সে নড়াচড়া করতে পারছে না। এ অবস্থা দেখে ছেলে বলে তাজুল হুজুর আমাকে মেরেছে। পরে সন্ধ্যায় ছেলেকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসা শেষে ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে আনা হয়। পল্লী চিকিৎসক মমতাজ আলী বলেন, ছেলেটাকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করায় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়ে ফুলা জখম হয়েছে। এজন্য তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শিক্ষক তাজুল ইসলাম বলেন, রাগের বশে ৩/৪ জন ছাত্রকে মারপিট করেছি। এর মধ্যে ওয়াসিমের মারটা একটু বেশি হয়েছে। তবে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আব্দুল জব্বার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্টানের ব্যাপার পড়া না দেয়ায় রাগান্বিত হয়ে ঐ শিক্ষক ছাত্রটাকে ৩/৪টি বেত্রাঘাত করেছেন। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, এ ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। এমতাবস্থায় মাদ্রাসা পরিচালনা কর্তৃপক্ষ অবস্থার বেগতিক ভেবে শনিবার বিকেলে তড়িঘড়ি করে উভয় পক্ষকে ডেকে মাদ্রাসা চত্বরে এক সমঝোতা বৈঠকে বসে। বৈঠকে অভিযুক্ত শিক্ষক তাজুল ইসলাম নিজের দায়ভার স্বীকার করে ছাত্র ওয়াসিমের পরিবারের লোকজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজেকে শেষ রক্ষা করেন বলে জানা গেছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।