তাড়াইলে ৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্স সঙ্কটে সেবাবঞ্চিত জনগণ
তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
চিকিৎসক মও কর্মচারীর অভাবে তাড়াইল উপজেলা হাসপাতালটি এখন নিজেই রোগাক্রান্ত। ফলে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও কেন্দুয়া, মদন, ইটনা, করিমগঞ্জ, নান্দাইল উপজেলা পার্শ্ববর্তী হাসপাতালটি হওয়ায় এলাকার মানুষ কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায় উপজেলায় চিকিৎসকের মোট ২৮টি পদ থাকলেও বর্তমানে আছে ৭ জন। কয়েক বছর যাবৎ ল্যাব ও এঙ্রে মেশিনে কোন টেকনিশিয়ানে নেই। ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাম এবং দন্ত চিকিৎসার যন্ত্রপাতি বহু বছর যাবৎ অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এছাড়াও কোটি টাকার অপারেশনের যন্ত্রপাতি মরিচা পড়ে অকেজো হচ্ছে। উপজেলা হাসপাতালটি কাগজে কলমে ৫০ শয্যার বলা হলেও ৩১ শয্যার জনবর দিয়েই চলছে এর কার্যক্রম।
প্রতিদিন এ হাসপাতালে বহির বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন প্রায় গড়ে ৪০০-৫০০ রোগী। কিন্তুবিভাগে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক না থাকায় অনেক রোগী সেবা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যান।
তাড়াইর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. মতিউর রহমান বলেন, কর্মচারী ও সবচেয়ে বড় সমস্যা চিকিৎসক সংকট এবং কিছু যন্ত্রপাতি নষ্ট ও টেকনিশিয়ানের অভাবে সঠিক চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না। একাধিক বার চিঠি দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এতে কোন ফল হয় নাই। ২৮ জন ডাক্তারের মধ্যে মাত্র ৭ জন ডাক্তার দিয়ে চরম সংকটের মধ্য দিয়ে সেবা দিতে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। হাসপাতলে বর্তমানে রিপ্রেজেন্টিভদের অত্যাচারে সাধারণ রোগীরা অতিষ্ঠ। সকাল ৯ সময় জরুরি বিভাগে ২০-২৫ জন রিপ্রেজেন্টেটিভ ভিড় করে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রতারিত করে। এছাড়াও দালালদের অত্যাচারে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের নিয়ে টানা হেচড়া নিত্যদিনের ঘটনা। সব কিছু মিলিয়ে তাড়াইল হাসপাতালটির বেহাল অবস্থায় আছে। তাড়াইল উপজেলা সচেতন মহলের দাবী ভাটির দ্বারপ্রান্তে অবস্থিত তাড়াইল হাসপাতালে কবে সাধারণ মানুষ সু-চিকিৎসা পাবে তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।