১০ দেশের সাংবাদিকের মুখোমুখি তথ্যমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার
নির্বাচনে আসার ক্ষেত্রে বিএনপি শুধু শর্ত দেয় বলে বিদেশি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। গতকাল রোববার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ১০টি দেশের ২৭ জন সাংবাদিকের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী একথা বলেন। তথ্যমন্ত্রীর সাথে ভারত, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রাজিল, তুরস্ক, ফিলিপাইন, ইথিওপিয়া, থাইল্যান্ড ও দ. কোরিয়ার সাংবাদিকরা দেখা করেন।
এসময় বিদেশি একজন সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন,
বিএনপি'কে নির্বাচনে আনতে কী উদ্যোগ নিচ্ছেন? জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরাতো চাই তারা নির্বাচনে আসুক। আলোচনার পথ উন্মুক্ত রেখেছি। কিন্তু তারা সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব না দিয়ে শুধু শর্ত দেয়।
দেশে বস্নগার হত্যা ইস্যুতে আরেক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বস্নগার হত্যার বিচার চলছে।
বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল দেখা গেলেও ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল দেখা যায় না কেন-ভারতীয় এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি ব্যবসায়িক। বেশকিছু সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমরা ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ-আলোচনা করছি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ৯ বছরে আমাদের সরকার একটি অগণতান্ত্রিক আইনও তৈরি করেনি। বরং গণতন্ত্রকে প্রসারিত করার জন্য গণমাধ্যম, টিভি-চ্যানেল, কমিউনিটি রেডিও, এফএম রেডিওকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আমাদের সরকার সমালোচনা শুনতে আগ্রহী এবং সংশোধন করতে আগ্রহী। গণতান্ত্রিক নীতি-নির্ধারণ আমরা অনুসরণ করছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি এখনও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নসাৎ করার চক্রান্তে লিপ্ত আছে। একটি অস্বাভাবিক সরকার তৈরির পাঁয়তারাতে আছে। এজন্য গণতন্ত্রের পক্ষে কোনো প্রস্তাবনা আজ পর্যন্ত তুলে ধরতে পারেনি, যোগ করেন ইনু। তিনি বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মোড় বদলকারী অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করার ফলে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে, মানবসম্পদের উন্নয়ন হয়েছে, পরিবেশ সুরক্ষা হয়েছে এবং বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আরেক ধাপ ওপরে উঠতে সক্ষম হয়েছে। এ অগ্রগতি সাধন হয়েছে সংবিধানে আস্থা স্থাপন করার কারণে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।