মাদক উদ্ধার অভিযান প্রসঙ্গে দায়িত্বশীলদের উত্তর খুবই আশাব্যাঞ্জক। তারা বলছেন, 'এখন মানুষ সচেতন হয়েছে, তারা খবর দিছে। সে কারণেই মাদক বেশি উদ্ধার সম্ভব হচ্ছে।' আগে কোনো বছরেই ৪ কোটির বেশি উদ্ধার হয়নি। আর এবার উদ্ধার হয়েছে ৫ কোটি ১৪ লাখ ইয়াবা। আর কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৩৫১ দিনে মারা গেছে ৩৫৮ জন মাদক অপরাধী। এই এই খবরের পরে সবাই মনে করছে, মানুষ সচেতন হওয়ার ফলে যদি মাদক উদ্ধারের পরিমাণ বাড়ে, তাহলে সেই সচেতনতাকে কাজে লাগিয়ে মাদক ব্যবসাকে দমানোও সম্ভব। কিন্তু আমরা দেখছি, দিন দিন মাদক ব্যবসা বাড়ছে। সাধারণ বিড়ি-সিগারেট থেকে গাজা, তারপর ফেনসিডিল, হেরোইন, ইয়াবা এভাবে দিনের সাথে সাথে পরিবর্তন হচ্ছে মাদকের ধরন। এর করাল গ্রাসে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ যুবসমাজ। তথা দেশের আগামী ভবিষ্যৎ।
এদিকে অভিযানে সম্পৃক্ত সূত্রগুলো বলছে, মাদক অভিযানে সব মহল আন্তরিক ছিল না। আবার অভিযান নিয়ে বাহিনীগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয়ও ছিল না। কাজেই অভিযান যে কোনো কাজে আসে নাই এক বছরের প্রতিবেদনই তার প্রমাণ। একদিকে মাদক অপরাধী মরছে। অন্যদিকে মাদক উদ্ধার বাড়ছে। সাধারণ জনগণের কাছে এ হিসাব গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না। তারা মনে করেন, পুলিশ ইচ্ছা করলে এক ঘণ্টার মধ্যেই মাদক ব্যবসাকে নস্যাৎ করে দিতে পারে। বন্ধ করে দিতে পারে মাদক প্রবেশের সীমানা পথ। কোনো প্রভাবশালী গোষ্ঠীর যোগশাজসে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ইন্ধনেই চলছে মাদক ব্যবসা-এমন কথা বলতেও কুণ্ঠা বোধ করছে না দেশের সাধারণ মানুষ।
পুনশ্চ : বেড়ায় ক্ষেত খেলে সে ক্ষেত সামাল দেয়ার সাধ্য কার? মাদক রোধের অভিযানে সংশ্লিষ্টগণের সদিচ্ছাই পারে মাদক নির্মূল করতে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।