শিবগঞ্জে মামীর সাথে পরকীয়া মামীকে হত্যার পর ভাগ্নের আত্মহত্যা
শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় মামীকে হত্যা করে ভাগ্নে আত্মহত্যা করেছে। মামী অনৈতিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।
শিবগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মামী আলেয়া বেগম (৩৫) ভাগকোলা গ্রামের দিনমজুর সাইদুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী। ভাগ্নে আপেল(২০) পার্শ্ববর্তী টেপাগাড়ী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। সাইদু?রের ১ম স্ত্রী উ?পিয়া বি?বি জানান, আপেল পেশায় কাঠ মিস্ত্রীর কাজ করে। ছোটওবেলা থেকেই আপেল তার নানা তোজাম্মেল হোসেনের বাড়িতে বসবাস করে। তার মামা সাইদুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়ার সাথে ভাগ্নে আপেল অনৈতিক সর্ম্পকসহ পর?কীয়া চ?লে আসছিল। একপর্যায়ে মঙ্গলবার বাড়িতে লোকজন না থাকায় লম্পট ভাগ্নে আপেল মামী আ?লেয়াকে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিলে আলেয়া প্রসতা?বে সাড়া না দিয়ে গোসল কর?তে গে?লে আ?পেল ধারা?লো বাটাল দি?য়ে পিছন থে?কে আলেয়াকে সজো?রে কোপাতে থাকে, এক পর্যায়ে রক্তাক্ত গুরতর জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর এলাকাবাসী আপেলকে চিনতে পেরে চিৎকার করলে সে পালিয়ে গিয়ে বাড়ির অদূরে পরিত্যাক্ত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি কক্ষে গিয়ে তার সঙ্গে থাকা ধারালো বাটাল দিয়ে নিজের পেটে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরতর জখম করে আত্মহত্যা করে। পুলিশ খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে ধারনা করা হচ্ছে, আপেল কাঠের কাজে ব্যবহৃত ধারালো বাটাল দিয়ে তার মামী আলেয়ার ঘাড়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর ঐ বাটাল দিয়েই নিজের পেটে আঘাত করে আত্মহত্যা করে। আপেলের মরদেহ উদ্ধারের স্থান থেকে রক্ত মাখা বাটাল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা ও ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।