আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে টার্গেট করেছে জঙ্গিরা : আইজিপি
স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর গুলিস্তানে গত ২৯ এপ্রিল রাতে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর ককটেল হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে বলে খবর প্রকাশ করে সাইট ইন্টেলিজেন্সে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে টার্গেট করেছে জঙ্গিরা। এ জন্য দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, পুরো বিশ্বে জঙ্গিরা এখন 'লোন উলফ' পদ্ধতিতে হামলা চালাচ্ছে। অর্থাৎ দলবদ্ধ হামলার চেয়ে একাকী হামলার প্রবণতা বাড়ছে। এ প্রবণতা রোধ করা প্রায় অসম্ভব। জঙ্গিদের কর্মকা- নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তবে পুরোপুরি নির্মূল সম্ভব হয়নি। হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার পর মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়। জঙ্গি বা সন্দেহভাজনদের নিয়ে মানুষ তথ্য দিলে 'একাকী হামলা' প্রবণতাও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ক্র্যাব কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, বুদ্ধ পূর্ণিমায় কোনো সুনির্দিষ্ট হামলার তথ্য নেই। তবে হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে বৌদ্ধ প্রধান এলাকাসহ সারাদেশেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ঢাকা এবং পার্বত্য অঞ্চলে বুদ্ধ পূর্ণিমার শোভাযাত্রা হবে। এ শোভাযাত্রা ঘিরেও বিশেষ নিরাপত্তা থাকবে। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথেও আমরা বৈঠক করেছি। তাদের নিরাপত্তা চাহিদাও পূরণ করা হচ্ছে।
দেশে-বিদেশি জঙ্গি বা জঙ্গি সংগঠনের তৎপরতা নেই দাবি করে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কোনো তৎপরতা বাংলাদেশে নেই। তবে কারও কারও সঙ্গে আদর্শিক যোগাযোগ থাকতে পারে।
আইএসএর দাবি করা বাংলাদেশ শাখার খলিফা শায়খ আবু মুহাম্মদ আল-বাঙালির বিষয়ে আইজিপি বলেন, গণমাধ্যমে আল বাঙালির বিষয়টি এসেছে। তার হুমকির বিষয়টিও গণমাধ্যম থেকেই আমরা জানতে পেরেছি।
অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের পক্ষে বক্তব্য দেন ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের ও সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার। এ ছাড়াও সেখানে ক্র্যাব সহ-সভাপতি মিজান মালিক, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ নিজাম ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীন আলমসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা এবং অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) মো. শফিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশনস) ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, ডিআইজি (মিডিয়া এন্ড প্ল্যানিং) ওয়াই এম বেলালুর রহমান, এআইজি (মিডিয়া এন্ড প্ল্যানিং) সোহেল রানা, পুলিশ সুপার (মিডিয়া এন্ড প্ল্যানিং) কামরুজ্জামান ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এ কে এম কামরুল আহসান উপস্থিত ছিলেন।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।