গতকাল শুক্রবার ছিল রমজানের শেষ জুমার নামাজ ছিল। শরীয়া অনুযায়ী রমজানের শেষ শুক্রবারকে জুমআতুল বিদা বলা হয়। ইবাদত-বন্দেগি ও জিকির-আজকারের মাধ্যমে জুমাতুল বিদা পালন করে থাকেন মুসলি্লরা।
জুমাতুল বিদা উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারাদেশের মসজিদগুলোতে জুমার নামাজ শেষে মোনাজাত করেন ইমাম সাহেবরা। এ সময় মুসলি্লদের নিয়ে আল্লাহর
দরবারে নিজেদের ভুল-ত্রুটি তুলে ধরে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তারা। করোনাভাইরাসের থাবা থেকে দেশের মানুষ তথা সমগ্র মানুষ জাতিকে রক্ষা করতে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করা হয়।
মসজিদে গিয়ে দেখা যায়, রমজানের বিগত শুক্রবারের তুলনায় গতকাল মুসলি্লদের উপস্থিতি ছিল একটু বেশি। তবে প্রত্যেক মুসলি্লই কয়েক ফুট দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করেছেন। মসজিদ কর্তৃপক্ষও নিরাপদে মুসলি্লদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করেন।
নামাজের আগে বিশেষ খুতবা এবং গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেছেন মসজিদের খতিবরা।
ধর্মীয় গ্রন্থ আল কুরআন ও আল হাদিসের রেফারেন্স তুলে ধরে রাজধানী উত্তর বাড্ডা এলাকার হযরত আবু বকর সিদ্দিক জামে মসজিদের ইমাম তার বয়ানে বলেন, নবী করিম (সা) বলেছেন, সবগুলো দিনের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম ও শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন। এই জুমার দিনেই হজরত আদম (আ.)কে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন এবং জুমার দিনই তাকে জান্নাত দান করেন এবং জুমার দিনেই তাকে জান্নাত থেকে এই দুনিয়ায় পাঠান এবং কেয়ামতও এই জুমার দিনেই অনুষ্ঠিত হবে।
পাশাপাশি ঈদের নামাজ, ঈদ পরবর্তী মানুষের জীবনযাত্রা নিয়েও তিনি আলোচনা করেন।
এ সময় তিনি করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে তার মুসলি্লদের প্রতি আহ্বান জানান।
নামাজ শেষে মোনাজাতে বলেন, হে আল্লাহ! প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে আমাদের বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীকে হেফাজত করুন। হে আল্লাহ! বায়তুল্লাহসহ বিশ্বের সকল মসজিদগুলোতে আগের মতো স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে দিন। হে আল্লাহ তোমার রহমতের দৃষ্টি থেকে আমাদেরকে বঞ্চিত করো না। আমরাতো গুনাহগার আমাদের গুনার দিকে না তাকিয়ে তোমার নবীর উছিলায় আমাদের দোয়া কবুল করুন।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারি করোনা থেকে রক্ষা পেতে প্রথম দিকে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে সীমিত আকারে তা খুলে দেওয়া হয়।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।