পাইকগাছার টেইলার্স কারিগররা ঈদের পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। মেশিনের 'ঘটর ঘটর' শব্দ চলেছে বিরমহীন।
একটানা কাজ করে চলেছে দর্জিরা। এতটুকু যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। ঈদ বলে কথা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে। তাইতো মেশিনের সঙ্গে সমান তালে চলেছে হাত-পা। মেশিনের 'ঘটর ঘটর' শব্দের তালে তৈরি হচ্ছে নানা ডিজাইনের পোশাক পাঞ্জাবি, জামা, শার্ট, স্যালোয়ার কামিজ, ফতুয়া, প্যান্ট, সুট্যসহ নানা ধরনের পোশাক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকগাছা পৌর বাজারে ১৫/২০টি টেইলার্সের দোকান আছে। এর মধ্যে কপোতাক্ষ মার্কেট, আল-মদিনা মার্কেটে হাসান টেইলার্স, স্টুডেন্ট টেইলার্স, সানমুন টেইলার্স, জেন্টস টেইলার্স, ফেমাস টেইলার্স, শরীফ টেইলার্স, সুন্দরবন টেইলার্স, মুক্তা টেইলার্স, বর্ণা টেইলার্স এছাড়া শুধুমাত্র মহিলাদের পোশাক তৈরির রাজমনি লেডির্স টেইলার্স, স্মার্ট ফ্যাশানসহ ৩/৪টি টেইলার্স রয়েছে। দর্জির কারিগরা জানায়, তারা সকাল ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একটানা কাজ করে যাচ্ছে। স্টুডেন্ট টেইলর্সের স্বত্বাধিকারী মোমিনুর রহমান জানান, ঈদ বলে কাজের চাপ অনেক বেশি। প্রতিদিন নতুন নতুন পোশাকের অর্ডার দিনে হচ্ছে। বিভিন্ন পোশাকের মজুরি প্যান্ট ৩৮০, শার্ট ২৮০, পাঞ্জাবি ৩৫০, ফতুয়া ২৫০ টাকা।
তিনি আরো জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাক ডেলিভারি দেয়ার জন্য কারিগররা দিন-রাত কাজ করছে। তবে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং-এর কারণে কাজের প্রচ- রকমের ব্যাঘাত ঘটছে। শরীফ টেইলার্সের মালিক মোশাররফ হোসেন মুন্না জানান, প্যান্ট ও শার্টের নতুন অর্ডার নিচ্ছে না, আগের অর্ডার নেয়া পোশাক সময়মতো ডেলিভারি দেয়ার জন্য দিন-রাত কাজ করছে। আল-মদিনা মার্কেটের রাজমনি লেডির্স টেইলর্সের মালিক রতন কুমার বিশ্বাস জানান, মেয়েদের বিভিন্ন পোশাকের মুজরি থ্রি-পিস ২৫০, টু-পাট ৩০০, প্লাজু ১০০, লেহাঙ্গা ৪০০, ফ্লোর টার্চ ৪০০ টাকা। মহিলা ও বাচ্চাদের পোশাক তৈরির চাপ বেড়ে গেছে। নিখুঁতভাবে পোশাক তৈরি করার জন্য সময় একটু বেশি লাগে। এ জন্য কারিগররা নির্ঘুম কাজ করে চলেছে। টেইলর্স মালিকদের সবার একই অভিযোগ বিদ্যুতের লোডশেডিং-এর কারণে তারা ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। ঈদের আগেই অর্ডার নেয়া পোশাক ডেলিভারি দেয়ার জন্য দর্জিপাড়ার কারিগররা পোশাক তৈরিতে দিন-রাত কাজ করে চলেছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।