নাগেশ্বরীতে টিআর প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ
নাগেশ্বরী থেকে মো. মজিবর রহমান
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সরকারের দেয়া ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতার বিরুদ্ধে। কোথাও ভুয়া সভাপতি ও স্বাক্ষর জাল করে আবার কোথাও জনগণের টাকায় আবার কোথাও ৪০ দিনের কর্মসৃচির লেবার দিয়ে কাজ করে প্রকল্পের টাকা ওঠানো হয়েছে। এসব অভিযোগের ঘটনায় উপজেলার সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। অথচ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা সিরাজুদ্দৌলা সরেজমিনে তদন্ত না করে টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি বছরের জন্য সরকার বিপুল পরিমাণ টিআর ও কাবিখা, কাবিটা, সোলার প্যানেল বরাদ্দ দিলেও বাস্তবে কোনো জনগণের উপকার হচ্ছে না। শুধুমাত্র উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌলাসহ কতিপয় কর্মকর্তার পকেট ভারী হচ্ছে। এগুলো দেখার কেউ নেই। সিরাজুদ্দৌলা নাগেশ্বরী উপজেলায় যোগদান করার পর থেকেই ঘুষ ও দুর্নীতিতে ভরে গেছে ঐ অফিসটি। চলছে ভুয়া প্রকল্প, ভুয়া স্বাক্ষর, ভুয়া হিসাব নম্বর এবং ফ্রি-স্টাইলের মাধ্যমে ভাগ-বাটোয়ারা করে আত্মসাৎ করছে। নাগেশ্বরী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজুদ্দৌলা বলেন, আমার কাছে কোনো অভিযোগ নাই। তবে কচাকাটা ও কেদারের প্রকল্পে কিছু সমস্যা আছে। পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু অভিযোগ আছে। আমার পক্ষে প্রমাণ করার কিছু নেই। একটি সূত্র জানিয়েছে প্রতিটি টি-আর প্রকল্প থেকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতাকে উৎকোচ দিতে হচ্ছে। ফলে কাজের ক্ষেত্রে তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। এই হচ্ছে বর্তমানে নাগেশ্বরী উপজেলার চিত্র। সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।