কথায় বলে, যে মাথা নোয়াতে জানে, সে কখনো মাথা খোয়ায় না। বুদ্ধিমানেরা কখনো একার বুদ্ধিতে কাজ করেন না। তাঁরা অনেকের যুক্তি খ-ন করে তবেই সিদ্ধান্ত নেন। আর স্থূলবুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরাই নিজেকে জ্ঞানী ভাবেন। এ প্রসঙ্গে কিংবদন্তী শেঙ্পিয়ার তাঁর উল্লেখযোগ্য একটি বাণীতে বলেছেন, 'বোকারা নিজেকে প্রাজ্ঞ মনে করে, আর প্রাজ্ঞরা জানে তারা বোকা।' তাই স্থূলবুদ্ধির লোকেরা কারো
শরণাপন্ন হওয়াকে ছোট জ্ঞান করে। অথচ তারা জানে না,
যাদের মুরুবি্ব মানার মানসিকতা নেই তারা কখনো চূড়ান্ত সাফল্যে পৌঁছতে পারে না। পক্ষান্তরে, জ্ঞানীরা নিজের বুদ্ধিকে তুচ্ছ করে অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেন। _এটাই বিজ্ঞতার লক্ষণ এবং তারাই সফলকাম হন। এখানে উল্লেখ্য যে, জ্ঞানের তিনটি স্তর। এক. যে প্রথম স্তরে প্রবেশ করে সে অহঙ্কারী হয়ে উঠবে, যেন সে সব কিছুই জেনে ফেলেছে। দুই. এই স্তরে প্রবেশ করার পরে সে বিনয়ী হবে। তিন. আর শেষ স্তরে প্রবেশ করার পর সে নিজের অজ্ঞতা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে। তখন সে অন্যের জ্ঞানকেও প্রাধান্য দিতে শিখবে।
পুনশ্চ ঃ প্রাজ্ঞ মাত্রেই জ্ঞান পিপাসু। তাই তারা তাদের জ্ঞান ভা-ারকে আরো সমৃদ্ধ করতে সর্বদা খুঁজে বেড়ান। তাদের ভাষায়_ যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলে পাইতে পার অমূল্য রতন।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।