পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার লতাচাপলি ইউনিয়নের ফাশিপাড়া গ্রামে অবস্থিত খাজুরা আশ্রয় কেন্দ্রের আয়রণ ব্রিজটি অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো সময় ঘটতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা জানান এলাকাবাসী। ব্রিজটি জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাজুরা আবাসনের আয়রন ব্রিজটির দু'প্রান্ত ভেঙে গেছে। লোহার ভিমের উপর আড়াআড়ি করে বসানো সিমেন্টের পাটাতন ভেঙে এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। অথচ এই ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে পার হতে গিয়ে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় অনেক দুর্ঘটনা। জানাগেছে, খাজুরা আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০০৩ সালে এ আয়রন ব্রিজটি করা হয়েছে। ব্রিজটি দিয়ে ফাশিপাড়া গ্রামসহ ৭টি গ্রামের প্রায় ৮ হাজার লোকের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হিসাবে এ ব্রিজটি ব্যবহৃত হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, যাতায়াতের বাড়তি চাপ ও খালে লোনা পানি কারণে লোহার ভিমে মরিচা পড়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই ব্রিজটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। গত ৪ বছর আগে ব্রিজটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে এরপরেও বাধ্য হয়ে আমরা চলাচল করি বলে জানান আব্দুর রহিম। আয়রন ব্রিজটির পাশে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকায় ব্রিজটি ভেঙে গেলে বিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানান এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। এ ব্রিজটি দিয়ে রোগী নিয়ে যাতায়াত কোনোভাবেই সম্ভব না বলে জানান আশ্রয় কেন্দ্রের একাধিক বাসিন্দা।
খাজুরা আবাসনের সভাপতি আছিয়া বেগম ও সাধারণ সম্পাদক সুধির চন্দ্র মিস্ত্রীসহ জানান, ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোকের যাতায়াত করতে হয়। বর্তমানে ব্রিজটির যে অবস্থা হয়েছে তাতে যাতায়াত করাই এখন মুশকিল হয়ে পড়েছে।
ব্রিজটি দ্রুত সংষ্কার হলে আমরা একটি বড় ধরনের দুশ্চিন্তা হাত থেকে বেঁচে যেতাম এবিষয়ে লতাচাপলী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ নতুন ব্রিজের বরাদ্দ আসতে পারে বলে তিনি আশা করেন। তবে, ব্রিজের নতুন বরাদ্দ আসার আগ পর্যন্ত মানুষের চলাচলের জন্য বর্তমান ব্রিজের অদূরে একটি মজবুত সাঁকো করে দিবেন বলে জানান।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।