নওগাঁয় মাদক তৈরির মিনি ল্যাব আবিষ্কার, বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও সরঞ্জামসহ ১ নারী আটক
নওগাঁ থেকে আবু বকর সিদ্দিক
মহামারী থাকলেও থেমে নেই মাদক ব্যবসায়ীদের কারবার। নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় একটি পাঁচতলা বাড়ি ঘিরে অভিযান চালিয়ে একটি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ও মাদক তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এক নারীকে আটক করা হলেও মাদক ব্যবসায়ী ইউনুস আলী পালিয়ে গেছেন বলে জানায় পুলিশ। গত শনিবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলা সদর ইউনিয়নের বৈরাগীপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এসব মাদক ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। আটককৃত নারীর নাম হাবিবা খানম (৩০)। তিনি জেলার পত্নীতলা উপজেলার গগনপুর গ্রামের মাদকসম্রাট হিসেবে পরিচিত ইউনুস আলীর স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত চার মাস আগে বৈরাগীপাড়ায় ব্যাংকার আসাদ আলীর পাঁচতলার নিচের ফ্ল্যাট ভাড়া নেন ইউনুস আলী। পাঁচতলার ওই ভবনের উপরে থাকেন বাসার মালিক আসাদ আলী।
এ ছাড়া বাসার দ্বিতীয় থেকে শুরু করে চতুর্থ তলা পর্যন্ত অন্য ভাড়াটিয়ারা থাকেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বদলগাছী থানা পুলিশ ওই দিন বিকেলে বাসাটি ঘিরে ফেলে। এরপর পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম আসার পর ওই বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই মাদকসম্রাট ইউনুস আলী সটকে পড়েন। প্রায় ৪ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ওই ভাড়া বাসা থেকে হেরোইন, ইয়াবা ট্যাবলেটসহ, ইয়াবা- হেরোইন তৈরির বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করে পুলিশ যার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। বাসার মালিক আসাদ আলী বলেন, গত চার মাস আগে ভবনের নিচতলা ইউনুসকে ভাড়া দেয়া হয়। বদলগাছী থানার ও'সি চৌধুরী জোবায়ের আহম্মেদ বলেন, ওই বাসা থেকে হেরোইন ও ইয়াবাসহ মাদক তৈরীর উপকরন উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে ইউনুস আলী গোপনে মাদক তৈরীর মিনি ল্যাব বসিয়ে নিজস্বভাবে এসব তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতো। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তার স্ত্রী হাবিবা খানমকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আটককৃত হাবিবাকে কোর্টের মাধ্যমে জেল খানায় প্রেরণ করা হয়েছে।
নওগাঁ পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। সেখানে হোরোইন, ইয়াবা তৈরির মিনি ল্যাব স্থাপন করে নকল হোরোইন ও ইয়াবা তৈরি করা হচ্ছিল। ওইখান থেকে বিপুল পরিমাণ হোরোইন, ইয়াবা ও তৈরীর উপকরণ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যায়, এ ঘটনায় পুলিশ এখনো অন্য কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এছাড়া আটককৃত নারীকে রিমান্ডে নেয়া হয়নি। স্থানীয়দের ধারণা মাদক তৈরির কারখানায় বাড়ীওয়ালাসহ আরো রাঘব বোয়াল জড়িত আছে যা তদন্ত করলেই জানা যাবে। অপরদিকে ওসি বলছে, তদন্ত করে জড়িতদের আটক করা হবে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।