ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার ও মামলা রেকর্ডের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশনরত ধর্ষিতার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন নারী নেত্রীরা। তাদের অংশগ্রহণে একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন আরো শতাধিক নারী। গত রোববার থেকে রাজধানী ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একাই আমরণ অনশন করেন নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পাড়াতলী গ্রামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। অনশনকালে বিষয়টি নারী নেত্রীবৃন্দের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। গতকাল সোমবার অনশনে অন্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন মমতা নারী কল্যাণ সংস্থার সভানেত্রী নাজমা খাতুন,

মানবাধিকার উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী সালেহা খাতুনসহ নেত্রীবৃন্দ। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তিনি ধর্ষণের শিকার হন। বিচার না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদ ফেসবুকে নিজের ওয়ালে শেয়ার করেন ধর্ষিতার এলাকাবাসী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ধর্ষক বাদী করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এর আগে ওই ভুক্তভোগীর ভাই নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, গত ২৯ জানুয়ারি কেন্দুয়া পৌরসভার শান্তিনগর এলাকার সোহরাব মাস্টারের বাড়িতে আমার বোনকে একই উপজেলার ছিলিমপুর গ্রামের প্রভাবশালী মুকুল খানের ছেলে প্রিন্স খান বাবু ধর্ষণ করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ প্রিন্স বাবুকে আটক ও তার বোনকে থানায় নিয়ে যায়। পরদিন প্রিন্স খান বাবুর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে যান তিনি। তবে পুলিশ মামলাও রেকর্ড করেনি বলে অভিযোগ করা হয়। অনশনকারি ভুক্তভোগী বলেন, এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে কোনও মামলা গ্রহণ করা হয়নি উপরন্তু আমাকে এবং বড় ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। ধর্ষকের কবল থেকে নিজের ভাইসহ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা এবং ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করার দাবিতে অনশনে নেমে ধর্ষিতা তার ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ এবং এবং বিচার দাবি করে া প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী , আইজিপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।