করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ৭৮৩ জনে। এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৪ জন। এটিই দেশে একদিনে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে। এর আগে গত ১৭ জুন সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছিল ৪ হাজার ৮ জন। এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৫৭ হাজার ৭৮০ জন।
গতকাল সোমবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৮৩৭টি নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এসব পরীক্ষায় নতুন করে ৪ হাজার ১৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে দেশে করোনাভাইরাসে
আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হলো ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২.৫০ শতাংশ।
আগের দিন গত রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৮ হাজার ৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৮০৯ জন। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ২১.০৫ শতাংশ। অর্থাৎ গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার আগের দিনের তুলনায় ১.৪৫ শতাংশ বেশি।
ডা. নাসিমা জানান, গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪৫ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭৮৩ জনের মৃত্যু হলো। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৬ শতাংশ। সর্বশেষ মারা যাওয়া ৪৫ জনের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী।
এদিকে আগে থেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন থাকা আরও ২ হাজার ৫৩ জন সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন জানিয়ে ডা. নাসিমা বলেন, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসা নেয়া ৫৭ হাজার ৭৮০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪০.৭৫ শতাংশ।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৮৪ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে ৫ লাখ ২ হাজার ৪৮ জন। আর ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫১ লাখ ৪২ হাজার ৬৪৯ জন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। গত ২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।