বগুড়ায় অনিয়মের অভিযোগ দায়েরের হুমকি দিয়ে বরাদ্দের অংশ আদায় করে নিলেন সরকার দলীয় নেতারা
বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া শাজাহানপুরের আমরুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অটলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ দায়েরের হুমকি দিয়ে বরাদ্দের অংশ আদায় করে নিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার বাদলের অফিসে উভয় পক্ষের বৈঠকে এই সমঝোতা হয়।
বৈঠকে উপজেলা চেয়ারম্যান সরকার বাদল, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল আলিম, আমরুল ইউপি
চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অটল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম টমেটো, সাধারণ সম্পাদক সানাউল হক ছানাসহ দলীয় নেতা-কর্মী ও ইউপি সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অটল জানান, তার ইউনিয়নে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার ৯২টি কার্ড বরাদ্দ দেয়া হয়। পরিষদের সকল সদস্যদের নিয়ে ওই কার্ডগুলি নিয়ম অনুযায়ী বিতরণে তালিকা তৈরি করা হয়। কিন্তু বাছাই কমিটির সদস্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম টমেটো বাছাই কমিটির রেজুলেশনে স্বাক্ষর না করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেন। পরে সেটা মীমাংশা হয়ে গেছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম টমেটো জানান, তিনি ইউএনও'র প্রতিনিধি। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান আসাদু্জামান অটল বাছাই কমিটির মিটিংয়ে তাকে না ডেকে নিজের ইচ্ছে মত অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে তালিকা তৈরি করেন। একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে উপজেলা পরিষদে গেলে চেয়ারম্যানের অনুরোধে অভিযোগ দায়ের করা সম্ভব হয়নি। পরে সমঝোতা বৈঠকে মীমাংসা হয়ে গেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি আলী আতোয়ার তালুকদার ফজু জানান, আমরুল ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অটলের সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম টমেটোর কমনিকেশন গ্যাপ হওয়ার কারণে ভুল বোঝা-বুঝির সৃষ্টি হয়ে ছিল। সেটা সমঝোতা বৈঠকে মীমাংসা হয়ে গেছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার বাদল বলেন, সংঘাত নয়। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই। তাই উভয়ের মধ্যে আপোস-মীমাংসা করে দেয়া হয়েছে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।