
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এর আগে চাঁদাবাজি মামলায় যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল হকের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। এই মামলাকে কেন্দ্র করে বিচারক পুলিশ কর্মকর্তাদের মিথ্যাচারের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন খারিজ করে দেন। এসময় ঢাকার মহানগর হাকিম মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে দায়ের করা এ মামলাটিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬১ বা ১৬৪ ধারায় কেউ তার (মোজাম্মেল) বিরুদ্ধে জবানবন্দি নিয়েছেন কিনা। তদন্ত কর্মকর্তার নেতিবাচক উত্তরে বিচারক আবার জানতে চান, কোনো সাক্ষী বা কোনো আসামির জবানবন্দিতে নাম না এসে থাকলে কেন তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হলো। তিন বার প্রশ্নের পরও পুলিশ কর্মকর্তা নিরুত্তর থাকেন। এসময় বিচারক মোজ্জামেলকেও কাফরুলের এ মামলার ঘটনা জানেন কি-না জিজ্ঞাসা করেন। তখন মোজাম্মেল 'পুলিশের বৈরিতার' কারণ ব্যাখ্যা বলেন, যাত্রীদের কল্যাণে কাজ করছেন বলে মালিক পক্ষ ও পরিহণ শ্রমিক নেতাদের রোষানলে পড়েছেন তিনি। পুলিশকে কব্জা করে অন্যায় স্বার্থের বিনিময়ে তাকে একের পর এক মামলায় জড়াচ্ছে ঐ মহল। তখন বিচারক পুলিশ কর্মকর্তার প্রতি উষ্মা প্রকাশ করে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন খারিজ করে দেন।
মোজাম্মেলের আইনজীবী জায়েদুর রহমান জানান, তাকে একটি বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ১৩ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানির জন্য দিন ধার্য করা আছে।
দুলাল নামের এক ব্যক্তি ৪ সেপ্টেম্বর মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরেরদিন তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ড শেষে ৮ সেপ্টেম্বর মোজাম্মেল হকের ফের ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরীকে জামিন মঞ্জুর করলেন আদালত।
গত ১০ সেপ্টেম্বর বিস্ফোরক দ্রব্যের আইনের মামলায় মোজাম্মেলকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। ঐ আবেদনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতও (রিমান্ড) চাওয়া হয়েছিল। সেদিন বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে গতকাল বৃহস্পতিবার হাজিরের জন্য দিন রেখেছিলেন। এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর দুলাল নামের এক ব্যক্তি মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর ১১ সেপ্টেম্বর তাকে জামিন দেয়া হয়। তবে জামিন পেয়েও কাফরুল থানার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখাতে পুলিশের আবেদন থাকায় আটকে যায় তার মুক্তি।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।