বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানের ভাঁড়ার। সযত্নে লালিত জ্ঞান বিতরণের বিপুল আয়োজন সেখানে। এর তত্ত্বাবধানের গুরু দায়িত্বের ভার একজন উপাচার্যের ওপর। তাঁর অভাবে সেখানে শুধু বিশৃঙ্খলা নয়, ভু-ুল হতে পারে মহান এই ব্রত। সেই অপরিহার্য পদ ফাঁকা রাখা কোনোভাবেই বাঞ্ছনীয় নয়। অথচ দেশের ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ খালি। ১০৭টিতে নেই সহ-উপাচার্য। ৫৩টিতে নেই কোষাধ্যক্ষ। সরকারি-বেসরকারি মিলে দেশের মাত্র ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই তিন শীর্ষ পদ পূর্ণ আছে।
ইউজিসি বলছে, ১০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন শীর্ষ পদে নিয়োগের জন্য ৩২১ জন অধ্যাপকের প্রয়োজন। কিন্তু যোগ্য ও পছন্দ অনুযায়ী অধ্যাপক পাওয়া একটি সমস্যা। ইউজিসির এই ভাষ্য সচেতন মহলের কাছে ভীতিকর। তা এই জন্য যে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ বলেছেন, 'যে দেশে গুণের সমাদর নেই, সে দেশে গুণী জন্মাতে পারে না।' দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমাচার বলছে, দেশে জ্ঞানী এবং যোগ্য লোকের অভাব দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ আমরা জ্ঞানীর সমাদর করতে জানি না, না হয় পারি না কিংবা করি না। এর ফল পরবর্তী প্রজন্মকে ভোগ করতে হবে। দায়িত্বশীলদের হঠকারী মনোভাব জ্ঞানশূন্য প্রজন্ম গঠনে ভূমিকা রাখলে জাতির জন্য তা হবে শুধুই অনুতাপের। সুতরাং শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি সংশ্লিষ্টদের সুনজর সময়ের দাবি।
পুনশ্চ : নিয়ম-কানুন না মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চললে তার প্রধান উদ্দেশ্যই বরবাদ হয়ে যায়। আর শিক্ষায় ঘাপলা থাকলে জাতি হয় জ্ঞানশূন্য। সে দায় শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেউই এড়াতে পারে না।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।