আবারো বেড়েছে ডলারের দাম
নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা আমদানিতে
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
আবারও বেড়েছে ডলারের দাম। ৩ মাস আটকে রাখার পর ডলারের বিপরীতে টাকার মান পড়তে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৫ কার্যদিবসে ১০ পয়সা বেড়েছে প্রতি ডলারের দাম। এতে আমদানি ব্যয় মেটাতে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য আগে ৮৩ টাকা ৭৫ পয়সা দিলেও এখন দিতে হবে
৮৩ টাকা ৮৫ পয়সা। ফলে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা বেড়েছে আমদানিতে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানিকারক ও ভোক্তারা। এদিকে খোলাবাজারে ডলারের দাম আরও বেড়ে উঠেছে ৮৬ টাকায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে, গত রোববার ৪৮টি ব্যাংক আমদানিমূল্য পরিশোধে প্রতি ডলারে দাম রেখেছে ৮৩ টাকা ৮৫ পয়সা। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে একদিকে উৎপাদন খরচ বাড়বে অন্যদিকে মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাবে। তবে আমদানিকারকদের পাশাপাশি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ভোক্তাদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতে যেভাবে রুপির মান হারাচ্ছে তাতে বাংলাদেশ ডলারের আয় হারাতে পারে। এজন্য রফতানি ও প্রবাসী আয় ধরে রাখতেই টাকার মানে কিছুটা ছাড় দেয়া হচ্ছে। আরও কয়েকদিন এমন প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। এ প্রসঙ্গে এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমদানি ব্যাপক হারে বাড়ছে। অনেক বড় বড় প্রকল্পের কাজ চলছে। তাতে সামনের দিনগুলোতে ডলারের ওপর চাপ আরও বাড়তে পারে। তাই টাকার মান অবনমন করলে অনেক বুঝে করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম নির্দিষ্ট করে দেয়। ব্যাংকগুলোকে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেয়া হয়, ৮৩ টাকা ৭৫ পয়সার বেশি দামে আমদানি দায় শোধ করা যাবে না। এজন্য ব্যাংকগুলোর কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে ডলার বিক্রি করে, তার দামও ছিল ৮৩ টাকা ৭৫ পয়সা। ২৮ জুন থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডলারের দাম এভাবেই আটকে রেখেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। একই সময়ে বাজারের সংকট সামলাতে ব্যাংকগুলোর কাছে ২০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে তারা। ৩ অক্টোবর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ১৯৭ কোটি ডলার। জানা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে বাংলাদেশে ডলারের সংকট শুরু হয়। রফতানি ও প্রবাসী আয়ের তুলনায় আমদানি দায় বেশি হওয়ায় এ সংকটের সূত্রপাত। এখন পর্যন্ত এই সংকটের কোনো সুরাহা হয়নি।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।