তারেক রহমানের যত সাজা ৭ ও ১০ বছরের পর এবার যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখন পর্যন্ত ৩ মামলায় বিভিন্ন মেয়াদের সাজা পেয়েছেন। এর মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন দণ্ডে দণ্ডিত হন তিনি। এর আগে অর্থপাচার ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে ৭ বছর ও ১০ বছরের সাজা দেয়া হয়।
আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা পৃথক ২ মামলার রায় বুধবার দুপুরে সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত ঢাকার ১নং অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ঘোষিত হয়। বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন মতিঝিল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯
জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে রায়ে উল্লেখ করা হয়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে নিহতগণকে অভিন্ন অভিপ্রায়ে পরিকল্পনা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যার অভিযোগে দণ্ড বিধির ৩০২/১২০ খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে মৃত্যুদণ্ড , ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রায় কার্যকরের আদেশ দেয়া হলো।
যাবজ্জীবন দ-ের ক্ষেত্রে রায়ে উল্লেখ করা হয়, নিহতগণকে অভিন্ন অভিপ্রায়ে পরিকল্পনা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যার অভিযোগে দণ্ড বিধির ৩০২/১২০ খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে যাবজ্জীবন কারদণ্ড , ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হলো।
এছাড়া মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত প্রথম ১৯ জনের বিরুদ্ধে মোকদ্দমার জখমপ্রাপ্ত ভিকটিমগণকে অভিন্ন অভিপ্রায়ে পরিকল্পনা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গুরুতর জখম করার অভিযোগ দণ্ড বিধির ৩০৭/১২০ খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড , ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেয়া হয়।
এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্ত ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিন্ন পরিকল্পনা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গুরুতর জখমের অভিযোগে দণ্ড বিধি ৩০৭/১২০ খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন দণ্ড , ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয় রায়ে।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।