অপরাধের সাথে মিতালী করে কেউ টিকে থাকতে পেরেছে এমন নজির পৃথিবীতে নেই। অপরাধ জগতকে স্বাগত জানানো কিংবা ইন্ধনে সাড়া দেয়াও অপরাধের শামিল। সৌদি আরব একের পর এক অস্ত্র কিনে অপরাধের ক্ষেত্র তৈরিতে অহগ্রসরমান বলে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক মহল মন্তব্য করেছে।
সৌদি বাদশাহর ভাবগতিকে মনে হচ্ছে, তারা অস্ত্র আমদানির ব্যবসা খুলে বসেছে। সম্প্রতি এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের অন্যতম ক্রেতা। কিছু দিন আগেও সৌদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ১১০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র কিনে মুসলিম বিশ্বে সমালোচিত হয়। মুসলিম বিশ্ব সৌদির অস্ত্র ব্যবসাকে মুসলিম ধ্বংসের পাঁয়তারা হিসেবেই দেখছে। কেননা অস্ত্র কেনা বা যোগান দেবার অর্থই হলো যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করা। আর এই কাজটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরিদর্শিতার তুলনা হয় না। সম্প্রতি ইরান ও অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির হামলা থেকে সৌদি আরব ও উপসাগরীয় অঞ্চলকে সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সৌদির কাছে সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র টার্মিনাল হাই-অলটিচিউড এরিয়া ডিফেন্স_ থাড বিক্রির অনুমোদন করেছে। এতেও রয়েছে মুসলমানের সাথে মুসলমানের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের প্রয়াস। যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রের যোগান দিয়ে কৌশলে যুদ্ধকে ত্বরান্বিত করছে। যা হবে মুসলমানদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের সংঘাত। অর্থাৎ মুসলমান ধ্বংসের পাঁয়তারা। আর সৌদি আরব বুঝে হোক কিংবা না বুঝে হোক সেই সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে যাচ্ছে। তাছাড়াও ইতোমধ্যেই সৌদি বাদশাহ নানামুখী সমালোচনার পাত্র হয়ে উঠেছেন। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় মক্কার কর্তৃত্ব নিয়ে সংকট দেখা দিতে পারে।
পুনশ্চ : সৌদি আরবের এহেন আচরণ শুধু তাদেরই নয় গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। মুসলিম নেতা হিসেবে সৌদি বাদশাহকে অবশ্যই এই দিকটি বিবেচনায় রাখা উচিত।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।