এককালের রেসকোর্স পরবর্তীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিবর্তীত হয়েছে। রেসকোর্স ময়দানে সেকালে অনেক বড় বড় জনসভা হতো। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এই ময়দানের জনসভা থেকেই জনসমক্ষে প্রচারিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেই রেসকোর্স ময়দান বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাতে আর কেউ জনসভা না করতে পারে সেই লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছিল। রেসকোর্স ময়দান বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক সময় জাতীয় চিড়িয়াখানাও গড়ে উঠেছিল। পরে যা ঢাকার মিরপুরে স্থানান্তরিত হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চিড়িয়াখানায় তখনকার দিনে ছিল কুয়ার মধ্যে একটি কুমির, খাঁচার মধ্যে কিছু বানর এবং একটি শীর্ণকায় বাঘ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনেক মেহেদি গাছ ছিল। পরে সেখানে বড় আকারের গাছও রোপণ করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল সেখানে যাতে আর কেউ জনসভা করতে না পারে।
সময় কখন কি চায় বা করে তা বোঝা মুশকিল। পূর্বপুরুষ যেখানে বৃক্ষরোপণ করে জনসভা বানচাল করতে চেয়েছিল। পরবর্তী প্রজন্ম সেখানকার বৃক্ষ কর্তন করে জমিয়ে তুলছে বক্তৃতার আসর। এই বক্তৃতার আসরের শ্রোতার সংখ্যা কতো তাই দিয়ে মাপার চেষ্টা করা হচ্ছে জনপ্রিয়তা। অর্থাৎ জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হয়ে উঠছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসমাবেশ।
খালেদা জিয়ার জনসভায় কতো লোক এলো কিংবা শেখ হাসিনার জনসভায় কতো লোক গেল, তাই দিয়ে আমার মতো প্রজাসাধারণকে বোঝানো হচ্ছে, তারা কে বেশি জনপ্রিয়!
পুনশ্চ : সুপ্রিয় পাঠক! বলুন তো, জনসভায় যারা যায় তারা কি শুধু নেতা-নেত্রীকে ভালোবেসেই যায়? শুনলাম, লোক জড়ো করতে নাকি ভাড়া লাগে। আজকাল ভাড়া লাগছে কি-না তা আমি জানি না। তবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুনতে ভাড়াটে শ্রোতার দরকার পড়েনি।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।