রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় মোজামের অত্যাচারে জিম্মি গ্রামবাসী
স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর খিলক্ষেত থানার বরুয়া এলাকায় ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসী মোজাম্মেল হক ওরফে মোজামের অত্যাচারে ১৫০ জন গ্রামবাসী জিম্মি হয়ে পড়েছে। মোজাম্মেল হক ওরফে মোজামের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ২৪টি মামলা ও ৪৫টি জিডি রয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, গত ২৮ এপ্রিল'২০০২ ইং তারিখে অবৈধ বিদেশি পিস্তল ও কাটা রাইফেল দ্বারা মোজাম গং উক্ত এলাকার জনপ্রতিনিধি কেরামত আলী দেওয়ানকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলা চালায়। গত ৬ নভেম্বর'২০০২ ইং তারিখে মোজাম বাহিনীর প্রধান মোজাম ও তার ভাই মোবারক, ক্যান্সার কাজলসহ সেনাবাহিনীর হাতে খিলক্ষেত বরুয়া এলাকা থেকে সবর্োমোট ৭ জন পুলিশ অফিসারের ছিনতাইকৃত রিভালবার, বিদেশি বন্দুক, দেশি বড় ছোরা, রাম দা, বিদেশি মদ, ও বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ আটক হন। গত ২১ ডিসেম্বর'২০০৯ ইং তারিখে গুলশান থানাধীন টিএন্ডটি মহিলা ডিগ্রী কলেজের সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জঙ্গী ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে দেশি তৈরি ২ রাউন্ড তাজা গুলি ভর্তি ৭.৬৫ পিস্তল, ৪ রাউন্ড তাজা গুলি ও ম্যাগজিনসহ ৩০৩ কাটা রাইফেল, ২ বোতল বিদেশি মদ, ২৪ ক্যান বিয়ার, ৫০ বোতল ফেনসিডিল ও একটি মেরুন কালারের এফ প্রিমিও প্রাইভেটকার যাহার নং- ঢাকা-৪৯৪/খসহ গোয়েন্দা পুলিশের নিকট মোজাম বাহিনীর সবর্োমোট ৫ সদস্য গ্রেফতার হয়। গুলশান থানার মামলা নং-৫৮(১২)০৯ ও ৫৯(১২)০৯ । সকল মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকিলেও বাদী ও সাক্ষীগণ মোজাম বাহিনীর প্রাণ-ভয়ে আদালতে হাজির হইতে পারে না। দীর্ঘ ১১টি বৎসর পরোক্ষ মদদদাতা ও গডফাদার দেওয়ান হাবিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সেকেন্ড ইন কমান্ড মোজাম বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ প্রায় ১৫০ জন গ্রামবাসী লিখিত স্বাক্ষরের মাধ্যমে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর বিশেষ ক্ষমতা আইনে ডিটেনশনে আটক রাখার জন্য নির্যাতিত জনগণ আকুল আবেদন করেন। কিন্তু তার পরেও থেমে নেই এই মোজাম বাহিনীর অত্যাচার। এই ভয়ঙ্কর বাহিনীর সর্বশেষ টার্গেটে পরিণত হয়েছেন এখন একই গ্রামের সহজ সরল নিরীহ বৃদ্ধ মো. রেজাউল করিম দেওয়ান (৭০)। শেষ সম্বল রেজাউল করিমের ঢাকা সিটি জরিপ ১৪১৬ নং খতিয়ানের ৫৯৬০ নং দাগের জমির উপর গত ১০/০৬/১৩ ইং তারিখে মোজাম বাহিনীর অশুভ শক্তির কারণে বাদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করিলে ১৬/০৬/১৩ ইং তারিখে জমির দলিল এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাই করিয়া চেয়ারম্যান ১৭/০৬/১৩ ইং তারিখে বাদীর পক্ষে রায় প্রদান করেন। মোজাম গং চেয়ারম্যান সাহেবের ইউনিয়ন পরিষদের লিখিত রায়ের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাইয়া অবৈধ পন্থায় মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করিয়া জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ২৭৯৬ নং মিথ্যা দলিলকে সত্য বলে প্রচার করে মো. মজিবুর রহমান সরকার (৩৭) পিতা- শেরমত আলী, মোসা. নুরজাহান আক্তার রিতা (২৫) স্বামী মো. মজিবুর রহমান সরকার, সাং-বরুয়া, মাইজপাড়া, খিলক্ষেত, মিসেস দেলোয়ারা রহমান (৪৬) স্বামী দেওয়ান হাবিবুর রহমান, বর্তমান ঠিাকানা : বাড়ি নং-২৮, রোড নং-০২, সেক্টর নং-০৩, উত্তরা, ঢাকা, মাহবুব দেওয়ান (২৮) পিতা- মোন্তাজ উদ্দিন দেওয়ান (মোজামের ভাই), মো. ইকবাল হোসেন (৩২), পিতা- সোলেমান বেপারী, সোহেল দেওয়ান (৩৫), পিতা-কাশেম আলী, সর্ব সাং- বরুয়া, মাইজপাড়া, খিলক্ষেত, ঢাকা এবং অজ্ঞাত ১০/১২ জন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা বাদীর জমিতে জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টা করে। বাদী মো. রেজাউল করিম দেওয়ান (৭০) থানায় লিখিত অভিযোগ করিলে অভিযোগটি নিয়মিত মামলায় রুজু হয়। মামলা নং ১৩(৬)১৩। বর্তমানে ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীরা মো. রেজাউল করিম দেওয়ান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে না। তারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আপনার কোন একাউন্ট না থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করুন।